
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে বহু কাঙ্ক্ষিত খুশির প্রহর। প্রতিবছর বহু প্রতীক্ষিত ঈদকে ঘিরে মানুষের মনে ছড়িয়ে পড়ে খুশির বার্তা। কিন্তু আমাদের সামান্য অসতর্কতা ঈদের পরবর্তী দিনগুলোকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। কেননা, ঈদ মানে আনন্দ আর উল্লাস। বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উল্লাস করতে গিয়ে উঠতি বয়সীরা অপসংস্কৃতির দিকে নুয়ে পড়ছে।
প্রতিটি সড়ক, উপ-সড়কে যানবাহনের উপঁচে পড়া ভিড়। যানজটে একাধিক গাড়ীতে দেখা গেল অনেকের মাথায় লাল ফিতা, সেই সাথে কানফাটা আওয়াজে সাউন্ড সিস্টেমে উঠতি বয়সীদের লাফালাফি যেন উত্তাল সাগরের ঢেউকে হার মানাবে। কিন্তু ঘটে তার বিপরীত গত ঈদুল ফিতরের সময় সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারও আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা সহ সাগরে সলিল সমাধি হয় অনেকের।
অপরদিকে ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদের যে প্রস্তুতি থাকে, তা থেকে একেবারে ভিন্ন প্রস্তুতি চলে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে। পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে এই ঈদে থাকে বিশেষ আয়োজন।
পশু জবাই করে রক্ত অপসারণ, চামড়া পৃথক করা ও বর্জ্য ফেলার দিকে অনেকেই উদাসীন থাকে। ফলে কোরবানির বর্জ্যরে কারণে জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। একদিনের সামান্য অসচেতনতা আমাদের ঈদের খুশিকে যেমন ক্ষণস্থায়ী করে, তেমনি নষ্ট করে সুন্দর পরিবেশ।
তাই প্রতিটি অভিভাবকের সচেতনতার পাশাপাশি ও সংশ্লিষ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক জানাচ্ছি, গাড়ীভর্তি এসব বিপদগামীদের গতিরোধ করার পাশিাপাশি দীর্ঘতম সৈকত নগরীতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা জোরদার একান্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ঈদ পরবর্তী দেশের সর্বস্তরের মানুষের নীরোগ, নিরাপদ ও সুস্থ জীবন প্রত্যাশা করছি।
পলাশ বড়ুয়া, সম্পাদক
www.csb24.com, infocsb24@gmail.com
পাঠকের মতামত